পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাছের ঘেরে বিষ ঢেলে অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘের থেকে কমপক্ষে ৫০ মন মাছ পচাঁ মাছ ফেলে দিতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘের মালিক আ.জামাল সিকদার জানান, তিনি তার ৪০ শতাংশ জমিতে মাছের ঘের করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। মাছগুলো আর কিছু দিন পরে বিক্রি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১ নভেম্বর রাতে কে বা কারা ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছেন। ওই রাতেই তিনি মাছ গুলোর ছটফট করার শব্দ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘেরের পাশে গিয়ে অসংখ্য মাছ পঁেচ ভেসে উঠেছে দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে দেখান। এসময় ঘেরের পাড়ে রাখা একটি বিষের বোতলও উদ্ধার করেন তিনি। পর্যায় ক্রমে অন্তত ৫০ মন মাছ মরে ভেসে উঠেছে। বিষ দেয়া এ মাছ গুলো বিক্রি করতে এলাকাবাসী নিষেধ করায় ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
জামাল সিকদার আরও জানান, মাছ চাষে তিনি ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন। এর আগে মাছ বিক্রি করে লোন পরিশোধ করেছেন, বর্তমানে যে ক্ষতি হয়েছে তা পরিশোধ করাও তার পক্ষে দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মাছ চাষ থেকে উপার্জিত আয়ে চলে তার সন্তানদের লেখাপাড়া সহ পরিবারের ব্যয় নির্বাহ। এত বড় সর্বনাশ কাটিয়ে উঠা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
এদিকে প্রতিবেশীদের অনেকে ধারনা করে বলেছেন, যারা ঘেরে বিষ ঢেলেছেন। তারা নিশ্চয়ই তার শত্রু। নাহলে এত বড় সর্বনাশ করার কি মানে আছে। তবে এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনা হলে ভবিষ্যতে এলাকার কেউ মাছ চাষে এগিয়ে আসবে না।
মৎস্যচাষী মো.জামাল সিকদারের ছেলে মো.ইউসুফ জানান, তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়শোনা করছেন, তাদের পরিবারের আয়ের উৎস ওই মাছের ঘের। ঘেরের মাছ মরে যাওয়ায় তিনিও সমস্যায় পড়বেন। এমনকি তারা দুস্কৃতকারীদের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর