বগুড়ার আদমদীঘির কুশাবাড়ীর মন্ডলপাড়ার শয়ন ঘরে রহস্যজনকভাবে আগুন লেগে গৃহকর্তা হামিদুল ইসলাম (৫০) দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের এই অগ্নিকাণ্ডে হামিদুলের স্ত্রী হাফসা বিবি (৪৫) দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনা সন্দেহজনক হওয়ায় হামিদুলের পুত্র মোঃ রহিদুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
অভিযোগ উঠেছে, রহিদুলের স্ত্রীকে মৌখিক তালাক দেয়ার পর আবারো ঘরে ফিরে নিতে চাইলে তার মা’বাবা রাজী না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। থানা পুলিশ পুরো ঘটনা তদন্ত করছে।
বগুড়ার আদমদিঘি থানা পুলিশ জানায়, বগুড়ার নন্দীগ্রামের উপজেলার আগাপুর গ্রামের হামিদুল ইসলাম আদমদীঘির কুশাবাড়ী গ্রামের ময়েজ উদ্দীনের মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুড় বাড়ীতে দীর্ঘ প্রায় ১৪/১৫ বছর যাবত বসবাস করে আসছে। হামিদুল ইসলামের ছেলে রহিদুল ইসলাম কয়েক বছর আগে পাশের গজারিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে মর্জিনা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রহিদুলের স্ত্রীর সাথে সাংসারিক ঝামেলা লেগেই থাকতো।
কয়েক মাস পূর্বে রহিদুল তার স্ত্রী মর্জিনাকে মৌখিক ভাবে তালাক দেয়। এরপর স্ত্রীকে পুনরায় সংসারে ফিরে নিতে কয়েক দফা বৈঠক বসে। এতে রহিদুলের বাবা হামিদুল ইসলাম রাজি হয়না। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে সবাই ঘুমে যাওয়ার পর প্রতিবেশিরা চিৎকার শুনে ছুটে এসে হামিদুলের দগ্ধ লাশ পরে থাকতে দেখে। এসময় হামিদুলের স্ত্রী হাফসা বিবি দগ্ধ হয়ে চিৎকার করছিলেন।
স্থানীয়রা হাফসা বিবিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এসব ঘটনার পর বাড়িতে উপস্থিত হয় নিহত হামিদুলের পুত্র রহিদুল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল মন্ডলসহ থানার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বগুড়ার আদমদিঘি থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সায়িদ মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান জানান, আগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হয়েছে। এ কারণে নিহতের পুত্র রহিদুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/১০ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল