নবান্ন উৎসবকে ঘিরে নেত্রকেনার কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির এতিহ্যবাহী উৎসব জারি গান। হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই জারি উৎসবের আয়োজন। তবে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক অভাবেই এই সংস্কৃতি আজ হারাতে বসেছে বলে দাবি জারি শিল্পীদের। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এই আয়োজন। এর ফলে একদিকে যেমন অলস মানসিকতা বিকাশে ভূমিকা রাখবে তেমনি অপরাধপ্রবণতাও কমে আসবে বলে মনে করেন কেন্দুয়া থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম।
হেমন্তের প্রথম দিনে পহেলা অগ্রাহায়নে পালিত হয় গ্রামীণ ঐতিহ্য নবান্ন উৎসব। এদিন থেকেই আমন ধান কাটতে শুরু করেন কৃষকেরা। আর এ উপলক্ষ্যে দিনটিকে ঘিরে নতুন ধানের পিঠা উৎসব, বাউল গানসহ নানা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। বুধবার দিনে ধানকাটা উৎসব শেষে রাতব্যাপী কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী হাড়িয়ে যাওয়া জারি গান শুরু হয়।
সারিবদ্ধভাবে গানের তালে তালে ২৫ থেকে ৩০ জন পুরুষের একটি দল গানের তালে তালে ঘুরে ঘুরে নাচেন। গ্রামাঞ্চলে তেমন কোন বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় এই জারি গানের উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকার নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এসে ভীড় জমায়।
শুধুমাত্র অর্থনৈতিক অভাবেই আজ এই সংস্কৃতি হারাতে বসেছে বলে দাবি জারি শিল্পীদের। তাই বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন জারি শিল্পীরা। এদিকে প্রথম বারের মত এমন আনন্দ আয়োজন দেখতে পেয়ে মহাখুশি স্থানীয়রা।
হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জারি,সারি, ভাটিয়ালীসহ বিভিন্ন বিলুপ্ত সংস্কৃতি ধরে রাখতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেন কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার