ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈল উপজেলা পৌর সভায় জাইকা'র (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সির) অর্থায়নে নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার দোষ দিচ্ছেন ইটভাটা মালিককে। রাস্তা নির্মাণে নরম ইট ব্যবহার করে চালিয়ে গেলেও ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গাইছেন জাইকার ইঞ্জিনিয়ার।
রাণীশংকৈল পৌরসভার তথ্য মতে, সংশ্লিষ্ট পৌরসভার ৬টি রাস্তা নির্মাণ কাজে জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬ কিমি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে সিরাজগঞ্জ জেলার মির্জা কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলে তিনি আবার কাজটি করার দায়িত্ব দেন ওই জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাবিল কনস্টাকশনের প্রোপাইটর সুইটকে।
এরই মধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় রাণীশংকৈল পৌরসভার ৮নং ওর্য়াডের বিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে খুনিয়া দীঘি সংলগ্ন একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। নিয়মনুযায়ী ভাটার পিকিট ইট ব্যবহার করার বিধান থাকলেও সেখানে বিভিন্ন ধরনের মিকচার ভাঙ্গা রাবিশ ইট স্তুপ করে রাখা হয়েছে। তার পাশেই কিছু শ্রমিক ওই ইটগুলো দিয়েই খোয়া করছেন। যা ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণাধীন রাস্তায়।
কাজের শুরু থেকেই অনিয়ম দেখা দেয়ায় স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তা খুড়ে রোলার মেশিন দিয়ে মাটি না বসিয়ে হাতে যন্ত্র ব্যবহার করে ইটের খোয়া সবানো হচ্ছে। যা নিয়মবহির্ভূত। এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিন্ম মানের ইট কিনে নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য খোয়া ভাঙ্গাছেন। যা নিয়মনুযায়ী ইটের গুনগুত মান নির্ণয়ের জন্য ল্যাবটেষ্ট করার বিধান থাকলেও করা হচ্ছে না। অন্যদিকে কাজ শুরু হওয়ার আগেই রাস্তা নির্মাণে কি কি উপকরণ ব্যবহার করা হবে তার একটি তালিকা টাংগানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এমন অবস্থায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা। এভাবে কাজ সম্পূর্ণ হলে সরকারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন জনসাধারণ। তাই বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাজ শেষ করার আহবান জানান স্থানীয়রা।
জাইকার প্রতিনিধি ও মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল আলম এর কাছে নিন্ম মানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারের সাফাই গেয়ে তিনি বলেন,আমার তো গোটা ইটের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন মাত্র ৫০ এম এল এর খোয়া। তবে তার দাবি কাজ নিয়মের বাইরে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাবিল কনস্টাকশনের ঠিকাদার সুইট জানান,আমরা তিনটি ভাটা থেকে ইট নিয়েছি। একটি ভাটা আমাদের খারাপ ইট দিয়েছে। এ ইট ব্যবহার করবেন কিনা প্রশ্নে বলেন, যেহেতু দিয়ে দিছে, তো আর কি করা।
এ বিষয়ে রাণীশংকেল উপজেলা পৌরসভার মেয়র আলমগীর সরকারের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার