বিধিমালা প্রণয়ন না হলে পার্বত্য ভূমি কমিশনের কাজের অগ্রগতি হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ’মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক। তিনি বলেন, সরকারে কাছে অনুমোদনের জন্য একটি খসড়া বিধিমালা পাঠানো হয়েছে। আশা করি সরকার খুব দ্রুত এ বিধিমালা বিবেচনা করবেন। তবে সরকার ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি নিষ্পত্তি কমিশনের শাখা কার্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। শাখা কার্যলয়গুলো হবে রাঙামাটি ও বান্দরবানে। তবে পার্বত্য ভূমি কমিশনের প্রধান কার্যালয় হয়েছে খাগড়াছড়িতে। ভূমি বিরোধ সংক্রান্ত এরই মধ্যে ২২ হাজার আবেদন কমিশনে জমা পড়েছে। আবেদনগুলোর শ্রেণি বিভাজন করা হচ্ছে। আজ রাঙামাটি সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশীষ রায়, খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী ও বান্দরবান বোমাং সার্কেল চীফ উ চ প্রু, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক সাংবাদিকদের আরও জানান, এটা ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ’মি বিরোধ নিষ্পত্তি এ কমিশনের প্রথম বৈঠক। আমরা প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। কমিশনের প্রয়োজনীয় জনবল এবং সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে যত দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন, কমিশনও তত দ্রুত কাজ করতে পারবে। তিনি বলেন, এ কমিশন প্রথমে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের ও অভ্যান্তরিণ শরণার্ধীদের নিয়ে কাজ শুরু করবে। যারা প্রকৃত শরণার্থী তাদের অগ্রিধিকার দেওয়া হবে। আগামী মার্চ মাসের শেষে দিকে এ কমিশনের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তখন আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেন, কমিশনের কাজ আরও ত্বরান্বিত করার দরকার। বিধিমালা প্রনয়নের কাজটা খুবই জরুরি এবং এটা যত দ্রুত সম্ভব প্রনিত হওয়া উচিত। এটা কার্যকর করার দায়ীত্ব সরকারের। এ বিধিমালা প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত এ ভূমি কমিশনের কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।
এদিকে প্রায় আড়াইঘন্টা অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পার্বত্য ভূমি বিরোধ বিষয়ক অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা, আনীত অভিযোগের বিষয়ে করণীয় পদক্ষেপ,কমিশনের পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ ও রাঙামাটি-বান্দরবান জেলায় ভূমি কমিশনের দুই শাখা কার্যালয় স্থাপন ও দাখিলকৃত আবেদন সমূহের বিষয়বস্তু পরবর্তী কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার