নাটোরের লালপুরে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১৩ জনকে আটক করেছে র্যাব-৫। আজ উপজেলার চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদের মধ্যে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলেও প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় অন্য তিন জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আটককৃতরা হলো-কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তহমিনা খাতুন, আছিয়া খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস, নুরে জান্নাত, সুমী খাতুন, রত্না খাতুন, নাসরিন জাহান, মাছুমা খাতুন, জিসান গাজী ও সৈকত সরকার, একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার স্বামী সোহেল আহমেদ এবং স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলী।
র্যাব-৫ এর নাটোর ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, আজ বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার রসায়ন বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। বেশ কয়েক দিন ধরেই এই উপজেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোন তল্লাশি করে র্যাব সদস্যরা। পরে প্রশ্নপত্র ফেসবুক থেকে ডাউনলোড দেয়ার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের অদূরে একটি সিএনজির ভেতর থেকে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে আটক করে। ফেসবুক থেকে ডাউনলোড দেয়া প্রশ্নের সাথে পরীক্ষার রসায়ন বিষয়ের সাথে তাদের মোবাইলে আসা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মিল পাওয়া যায়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ১০ জন শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষকসহ মোট ১৩ জনকে আটক করা হয়।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত ১০ পরীক্ষার্থীর সাথে থাকা ডিভাইসে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সাথে মূল প্রশ্নপত্রের মিল থাকায় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিধি অনুযায়ী তাদেরকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বহিষ্কারের জন্যে কেন্দ্র সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্য তিনজনের সাথে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব আজমল হোসেন দুপুরে অভিযুক্ত ১০ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার