নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের পাঁচ দিন পর মিম খাতুন (১৬) নামে এক নববধূর মরদেহ স্বামী ফরহাদের (২১) বাড়ির পিছন থেকে মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়।এলাকাবাসী ঘাতক স্বামী ফরহাদসহ হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার ঝাউপাড়া গ্রামে মিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার হালায়কুল গ্রামের কৃষক
মনিরুলের মেয়ে গুরুদাসপুর রোকেয়া গালর্স স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মিমের সাথে
পাশ্ববর্তী ঝাউপাড়া গ্রামের তৌহিদুলের ছেলে ফরহাদের সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের পর
নববধূ মিমকে তার শ্বশুরবাড়ীতে নিয়ে যায়। কিন্ত গত রবিবার রাত ১ টার দিকে জামাই ফরহাদ তার শ্বশুর মনিরুলকে ফোন করে জানায় ,জীবন নামে এক ছেলের সাথে তার স্ত্রী মিম পালিয়ে গেছে। বিষয়টি কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারেননি বাবা মনিরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। সম্ভাব্য সব জায়গায় সন্ধান করে কোথাও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে মনিরুল মঙ্গলবার সকালে তার মেয়ে মিমের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানান।
পুলিশ অভিযোগ পেয়েও তদন্তে নামে। অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ মিমের স্বামী ফরহাদ ও শশুর তৌহিদুলকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, ফরহাদকে জিঞ্জাসাবাদের একপর্যায়ে বলেন, তার প্রথম স্ত্রী ও আগের শ্বশুর-শাশুড়ি এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে মিমের মরদেহ বাড়ির পাশে মাটিতে পুতে রাখে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফরহাদ জানান, প্রথম স্ত্রী ইমা এবং তার বাবা তফের আলী ও মা সুখজান মিমকে হত্যা করলে দালান ঘর এবং ব্যবসা করার জন্য টাকা দেবে। লোভে পড়ে বিয়ের চারদিনের মাথায় মিমকে গলাটিপে হত্যা করে ফরহাদ। স্ত্রীকে হত্যার পর বসতবাড়ির পিছনে মাটি নিচে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ফরহাদের দেখানো জায়গা থেকে মাটির নিচে পুতে রাখা মিমের মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ এ ঘটনায় স্বামী ফরহাদ, তার প্রথম স্ত্রী ইমা বেগম (১৮) ও তার প্রথম স্ত্রী'র বাবা তফের আলী (৪৭), শাশুড়ি সুখজানকে (৩৯) আটক করেছে পুলিশ।
বিডিপ্রতিদিন/ ই জাহান