ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা এক ট্রাক বিস্ফোরক আতশবাজি আটক করেছে কাস্টমস কর্মকর্তরা। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের বাশকল এলাকা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাকভর্তি আতশবাজিসহ ২ জনকে আটক করা হয়। সীমান্তবর্তী তেরঘর এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি বিস্ফোরক আতশবাজি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ভারত থেকে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসছে এমন ধরনের গোপন সংবাদ পেয়ে কাস্টমস’র আইআরএম এর একটি দল কাস্টমস হাউসের সামনে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্র -ন-১৩-৬১৩৪ নাম্বারের একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করে। পরে কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশী চালিয়ে ৩০ কার্টুন আতশবাজি জব্দ করা হয়। কাভার্ড ভ্যানের সাথে থাকা ২ জনকে আটক করা হয়।
আটক সেলিম ঢাকার পল্লবীর সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং আসাদুজ্জামান বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের সামাউল মোড়লের ছেলে।
২৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বেনাপোলের দৌলতপুর তেরঘর সীমান্ত দিয়ে ওই আতশবাজি ভারত থেকে কিভাবে পাচার করে দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এটা দেশের বৈধ আমাদানি বাণিজ্য তথা গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, চোরাচালানী সামছুল আলম এ সকল ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ট্রাক ড্রাইভার ও ট্রাকের সাথে থাকা এস্কর্ট আসাদুজ্জামান চঞ্চল নিশ্চিত করেছে।
আতশবাজি সামগ্রী সরবরাহের জন্য নিয়োজিত দরদাতা প্রতিষ্ঠান “রূপকার” এর লেটারহেড এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এর ম্যানেজার সামছুল আলম স্বাক্ষরিত ৩০ কার্টুন মালামালের বর্ণনা একটি কাগজে পাওয়া যায়।
কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভার সেলিম ও এসকর্ট মোঃ আসাদুজ্জামান (চঞ্চল) জানান, ঢাকাস্থ প্রতিষ্ঠান “রূপকার” এর ম্যানেজার সামছুল আলম কাভার্ড ভ্যান ভাড়া করে। ওই মালামাল ঢাকা পযর্ন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য সুয়োগ পেয়ে শুক্রবার সুযোগ বুঝে পাচার করা হয়। একটি প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় ট্রাকভর্তি বিস্ফোরক’র চালান ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ট্রাকটি আটকের সময় বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমতি নিয়েছিল।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইদ আহমেদ রুবেল জানান, কি কারণে দেশের অভ্যন্তরে এত বিপুল পরিমান আতশবাজি পাচার করে আনা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। একটি প্রভাবশালী মহল এই বিস্ফোরকের চালান পাচার করছিল।
বিডি প্রতিদিন/৩১ মার্চ ২০১৮/হিমেল