নাটোরে আমন চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংগ্রহের নীতিমালা উপেক্ষা করে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ইতোমধ্যে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আজ বিক্ষুদ্ধ মিল মালিকরা জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের কাছে দুর্নীতিপরায়ণ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে আমন চাল সংগ্রহ উপলক্ষে নাটোরের ৬ উপজেলায় ৪ হাজার ৫ শ ৭২ মেট্রিক টন বরাদ্দ আসে। ঐ চাল সদর ও নলডাঙ্গা ৭ শ’৩৮ মেট্রিক টন, গুরুদাসপুরে ৬ শ’৬১, বড়াইগ্রামে ২ হাজার ১ শ’ ৫৬ মেট্রিক টন, লালপুরে ৪ শ’১৬ মেট্রিক টন, সিংড়ায় ৬ শ’৬১ মেট্রিক চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে গত বেরো মৌসুমে সরকারের কাছে চাল সরবরাহ করা চালকল মালিকের কাছ থেকে এই চাল ক্রয় করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
আমন চাল সংগ্রহে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে নাটোরের খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোন টাকা লেনদেন হয়নি। সরকারি নিয়ম নীতি মেনেই আমন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। টাকার বিনিমিয়ে কেউ নিম্নমানের চাল সবরাহ করতে পারেনি। এসব অপপ্রচারে কান দেবেন না।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল জানান, নাটোর জেলা খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনেক মিল মালিক অভিযোগ করেছেন। টন প্রতি এক হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ, নিম্নমানের চাউল ক্রয়সহ নানা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি খাদ্যমন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের জানাব। তদন্ত স্বাপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার