প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে পুঁজি করে দারিদ্রতাকে জয় করে প্রত্যন্ত গ্রামের পুর্ণিমা রানী রায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ গোল্ডেন পেয়েছে। বিসিএস দিয়ে একজন সৎ ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে দেশের সেবা করার স্বপ্ন নিয়ে এগুতে চায় পূর্ণিমা রানী রায়।২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অভাবের সংসারে এনেছে সে কষ্ট জয়ের সাফল্য।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউপির প্রত্যন্ত কৈকুর গ্রামের ভ্যানচালক লক্ষী কান্ত রায়ের মেয়ে পূর্ণিমা রানী রায়। তার পরিবারের মা পূষ্প রানী রায় বাড়ি ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন শাড়ি-কাপড়।
বাবা লক্ষী কান্ত রায় জানান, অজোপাড়া গায়ে থেকে পড়াশুনার ব্যয় বহন করা দুঃসাধ্য হলেও কঠিন কাজটি করে যাচ্ছি মেয়ের পড়াশুনার আগ্রহ ও প্রবল ইচ্ছা শক্তির কারণে।
মা পূষ্প রানী রায় জানায়, অভাবের সংসারে আমি গ্রামের বাড়ি শাড়ি-কাপড় ফেরি করি। তার ফলাফল আমাদের ভাবনা বদলে দিয়েছে। প্রমাণ করেছে আমার মেয়েও পারবে। তার ইচ্ছানুযায়ী পড়ালেখা করাতে চায়। জানি না কতদূর এগুতে পারবে সে।
পূর্ণিমা রানী রায় জানান, অভাবের সংসারে বাবা-মা ছাড়াও শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল প্রশংসার দাবিদার। অভাবের কারণে তেমন ভাবে প্রাইভেট অথবা কোচিং করতে পারিনি। বাবা ভ্যান চালায় আর মা সংসারের কাজ সেরে বাড়ি বাড়ি শাড়ি-কাপড় বিক্রি করে বেড়ায়। ভবিষ্যতে আমি বিসিএস দিয়ে একজন সৎ ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে দেশের সেবা করতে চায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার