চলতি মাসেই বাজারে আসছে সবার মন জয় করা অনন্য স্বাদের টসটসে লাল দিনাজপুরী লিচু। লিচুর বাগানগুলোতে এখন মৌ মৌ গন্ধ। এই দিনাজপুরী লিচু সারাদেশে সমাদৃত। আর এসব লিচুকে বাঁশের খাঁচায় ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করা হয়।
এ কারণে এখন বাশেঁর খাঁচা তৈরিতে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দিনাজপুরের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মাহালী জনগোষ্ঠী। তাদের এখন চলছে মৌসুম।
দিনাজপুরের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মাহালী জনগোষ্ঠী তৈরি করে এসব খাঁচা বা টুকরি। দিনাজপুর পৌর এলাকার কসবা আদিবাসী পাড়ায় চলছে লিচু মৌসুমকে কেন্দ্র করে বাঁশের খাঁচা বা টুকরি তৈরির ব্যস্ততা।
কারিগর শিলা টুডু জানান, তিন ধরনের খাঁচা তারা তৈরি করেন তারা। এক হাজার লিচু ধারণের খাঁচা ৮০ টাকা, ৫০০ লিচু ধারণের খাঁচা ৫০ টাকা আর তিনশত লিচু ধারণের খাঁচা ৪০ টাকা করে বিক্রি করেন। এখানে ২০টিরও অধিক পরিবার এই শিল্পের উপরে জীবিকা নির্বাহ করে।
প্রতিদিন গড়ে ৩০টি ছোট বড় খাঁচা তৈরি করতে পারে প্রতিজন কারিগর। খাঁচা তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত বাঁশটি প্রথমে কেঁটে শুকানো হয়। একদিন শুকানোর পরের দিন তৈরি করা হয় লিচুর খাঁচা বা টুকরী।
কসবা আদিবাসী পাড়ার শ্যামল মারান্ডী, নির্মল মারান্ডী, দাউদ হাসদারা বংশ পরম্পরায় ব্রিটিশ আমল থেকেই এ পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/১২ মে ২০১৮/আরাফাত