বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে বহিঃবিশ্ব থেকে পণ্য আমদানি করে তা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ওই স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছে নেপালের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. চোপলাল ভুসালের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দল শনিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। এসময় তারা বন্দর কাস্টমস কর্মকর্তা, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা, আমদানি রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন ও সিএন্ডএফ এজেন্টের নেতা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করে।
নেপালের প্রতিনিধি দল জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তারা পণ্য আমদানি করতে ভারতের কলকাতাসহ দুটি সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করেন। কিন্তু ওই দুটি বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে খরচ এবং সময় অনেক বেশি লেগে যায়। এ জন্য তারা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বহিঃবিশ্ব থেকে পণ্য আমদানির কথা চিন্তা করছেন। এতে খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ভারতের সমুদ্র বন্দরের চেয়ে অনেক কম সময়েই পণ্য আমদানি করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
প্রতিনিধিদলটি রবিবার পঞ্চগড়ের রেলস্টেশন পরিদর্শন করে রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি করা যায় কিনা তারও সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখবেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক প্রিয়সিন্ধু তালুকদার, পঞ্চগড় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন রায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মাহাবুব আলম, আমদানি রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদি হাসান খান বাবলা, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা ও নেপালের বীরগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি অশোক কুমার আগারওয়াল উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান