পার্বত্যাঞ্চলে নামধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা একের পর এক খুন, গুম, অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। পুরো পাহাড়কে অশান্তি করে রেখেছে অবৈধ অস্ত্রধারীরা। সাধারণ মানুষের এখন কোন মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। পাহাড়ের মানুষ আর অস্বাভাবিক মৃত্যু চায় না। সরকারকে এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে এখনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে পাহাড়ের মানুষ সরকারের উপর আস্থাহীনতায় পড়বে।
রবিবার বেলা ১১টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে চেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশে স্থানীয় সাধারণ মানুষ এসব কথা বলেন।
এই মহাসমাবেশে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার,তিন পার্বত্য জেলা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বেলায়েত হোসেন ভূইয়া বক্তব্য রাখেন।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ে যে কোন মূল্যের বিনিময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। পাহাড়ে বাঙ্গালী ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসে অবৈধ অস্ত্রধারীরা আর মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে পারবেনা। পার্বত্যাঞ্চলে ত্রাসের রাজ্যত্ব গড়ে তুলতে পারবেনা। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কোন জাত, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের হতে পারেনা। তাদের একটাই পরিচয় তারা সশস্ত্র সন্ত্রাসী।তাদের যে কোন মূল্যে প্রতিহোত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন,সম্প্রতি সময়ে রাঙামাটি যে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তা দেখে আমরা অবগত। পাহাড়ের কোন মানুষ নিরাপদ নয়। পাহাড়ে বসবাসরত মানুষদের নিরাপত্থা দিতে পারে সরকার ও প্রশাসন। তাই পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে এখনি যৌথবাহিনীর সাড়াঁশি অভিযান শুরু করতে হবে। কারণ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা নাহলে পাহাড়ে কোনদিন শান্তি প্রতিষ্ঠা হবেনা।
পরে স্থানীয় সচেতন নাড়রিক সমাজের নেতারা, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাড়াঁশি অভিযান ব্যাপক করার লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
এর আগে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় বিভিন্ন পেশার মানুষ। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক চত্বরে মহাসমাবেশে মিলিত হয়। এ মিছিলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী, পরিবহন মালিক শ্রমিকসহ কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর