নরসিংদীর রায়পুরা জমি থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সুমাইয়া আক্তার (২৫) নামে এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের খাকচক এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমাইয়া খাকচক গ্রামের মো. হানিফা ওরফে ভুট্রোর মেয়ে। জাহিদ মিয়া নামে ৫ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তার।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ৮ বছর আগে নরসিংদীর বানিয়াছল এলাকার রতন মিয়ার সাথে রায়পুরা উপজেলার খাকচক গ্রামের হানিফা ওরফে ভুট্রোর মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। তাদের জাহিদ নামে একটি ছেলে রয়েছে। এরই মাঝে সুমাইয়াসহ তার পরিবারের লোকজন জানতে পারে রতন আগেও একটি বিয়ে করেছিল। বিষয়টি গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এক পর্যায়ে গত ২/৩ বছর আগে স্বামী রতন তার স্ত্রী সুমাইয়া ও সন্তান জাহিদকে ফেলে চলে যায়। এরপর থেকে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে থাকতেন। অভাবের সংসারে সুমাইয়া তার ছেলে জাহিদকে একটি এতিমখানায় দিয়ে দেন এবং তিনি নিজে একটি গার্মেন্টসে কাজ নেন।
মঙ্গলবার সকালে এলাকার লোকজন বাড়ির অদূরে ধানি জমিতে হাত-পা বাঁধা ও মাথা কাদার নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় সুমাইয়ার লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরত হাল করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, প্রতিবেশী প্রতিপক্ষদের সাথে হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতা ও স্বামীর সাথে দ্বন্দ্বের জেরে রাতের আধারে এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/১৫ মে ২০১৮/এনায়েত করিম