ফরিদপুরের সালথায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জাহিদ ফকির নামের বিএনপির এক নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ভোর রাতে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামের ভরপাড়ায় জাহিদের বাড়িতে এ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা জাহিদের পরিবারের ৫ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামজুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। জাহিদ ফকির বল্লভদী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি।
বিএনপি নেতা জাহিদ ফকির অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশি কাউছার কাজীর সাথে জমি নিয়ে আমার বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে শালিস দরবার হয়েছে এবং আমার পক্ষেই শালিস রায় দিয়েছে। হঠাৎ করে কাউছার কাজীর ভাই হাসান কাজী কাউকে না জানিয়ে জমির সীমানা নির্ধারণ করে। বাড়িতে আমাদের তেমন কেউ থাকে না। বুধবার ভোর রাত আড়াইটা-তিনটার দিকে কাউছার কাজীর ভাই হাসান কাজীর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি দল আমার বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। ভাঙচুরের শব্দ পেয়ে আমরা এগিয়ে গেলে ওরা আমাদের ওপর হামলা করে।
তিনি বলেন, হামলায় আমি, আমার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৬০), আমার ছোট ভাই শাহিদুর রহমান (৬০), ভাতিজা বদিউর রহমান (৩৫), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিপা বেগম আহত হয়। আমার স্ত্রীও গুরুতর আহত হয়। তার অবস্থা গুরুতর। হামলাকারীরা আমার চারটি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ঘরে থাকা বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য, মৌসুমি ফসলসহ দামি মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় ও ভাঙচুর করে। আমার ঘরে থাকা প্রায় শত বছরের পুরোনো একটি সিন্দুক রয়েছে। সেখানে পাঁচটি পরিবারের দামী গহনা ও নগদ অর্থ ছিলো। হামলাকারীরা সিন্দুকের তালা ভেঙ্গে সব নিয়ে যায়। পাকা টয়লেট, গাছপালা কোন কিছুই ওদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
এ বিষয়ে জানতে কাউছার কাজী ও হাসান কাজীর বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। কাউছার কাজী প্রবাসে থাকেন এবং তার ভাই হাসান কাজী পলাতক রয়েছেন বলে প্রতিবেশীরা জানান। হাসান কাজীর ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, প্রতিবেশীর সাথে জমি নিয়ে তাদের ঝামেলা ছিল। হামলার খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ