জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় আটক চার শ্রমিকের মুক্তি এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়বের বাইপাস মোড়ে দুই ঘণ্টা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন শ্রমিকরা।
অবরোধের কারণে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সঙ্গে সারা দেশের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ফলে মহাসড়কের দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। আগামী দুইদিনের মধ্যে আটক শ্রমিকদের মুক্তি ও দোষী শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় না আনা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
গত ১৩ মে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসকে অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে পরিবহন শ্রমিক ও এলাকাবাসীর দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে ৪৫টি বাসসহ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর এবং সাংবাদিকদের মারধর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, বাস ভাংচুর, শ্রমিক মারধর ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা ও ত্রিশাল থানায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অজ্ঞাত ৪/৫শ' শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে জেল মোটর মালিক সমিতি, ত্রিশাল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও সাংবাদিকরা।
বিডি-প্রতিদিন/২০ মে, ২০১৮/মাহবুব