লক্ষীপুরের রায়পুরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচা বিক্রি। তবে দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তারপরও জমজমাট ঈদের বাজার। পছন্দের জিনিস কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। উচ্চমূল্যে বিত্তশালীরা ঈদের কেনাকাটা করলেও নিম্নবিত্ত, দিনমজুর, খেটেখাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। বেশি দামে তারা ঈদের কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছে।তবে যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন মার্কেট, বিপনী বিতান ও শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে ভিড় করায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার।
উপজেলার গাজী শপিং কমপ্লেক্স, মিয়াজী সুপার মার্কেট, সোনালী ব্যাংক শপিং কমপ্লেক্স, খাসেরহাট বাজার ও হায়দরগঞ্জ বাজারের গাজী সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এসব মার্কেটে সব ধরনের কাপড় ও পোশাক বিক্রি হওয়ায় যে কোন ধরণের ক্রেতা সাধারণ এ দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে।
চরবংশী থেকে কেনকাটা করতে আসা মো. মিজানুর রহমান মোল্যা জানান, রায়পুর পৌর শহরের ভূঁইয়া গার্মেন্টস্ থেকে সুলভ মূল্যে বাজার করতে পেরে খুশি। তার দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে এবং আত্মীয়-স্বজনের জন্য পছন্দমত পোশাক কিনতে পেরেছে।
হায়দরগঞ্জ গাজী সুপার মার্কেটের মা-মনি বস্ত্রালয়ের মালিক এইচ.এম রিয়াজ হাওলাদার জানান, এবারের রমজানের শুরু থেকে ক্রমান্বয়ে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। বেচাকেনাও মোটামুটি ভালো। ঝড়বৃষ্টি না হলে চাঁদরাত পর্যন্ত বেচাকেনা আরও অনেক ভালো হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করা হলে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ঈদুল ফিতরের হাট-বাজার ও শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতারা যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি বড় বড় মার্কেটগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা