শরীয়তপুর সদর উপজেলায় বাসায় ঢুকে এক পরিবারের ৫ জনকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান এরশাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এরআগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই গ্রামের আবুল কালাম ঢালীর স্ত্রী সুইটি বেগম (৪০), মেয়ে লামিয়া আক্তার (১৭) ও চাঁদনী আক্তার (১৫), ভাতিজি বৃষ্টি আক্তার (১৭) এবং অনামিকা আক্তার (১২)। এদের মধ্যে তিনজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুর গ্রামের একটি উঠানে শুক্রবার দুপুরে ধান শুকাতে দেন সুইটি বেগম। এ সময় আসাদুজ্জামান এরশাদ ধানের উপর দিয়ে মটরসাইকেল নিয়ে গেলে তাকে ধানের উপর দিয়ে যেতে নিষেধ করেন সুইটি। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে এরশাদ তার লোকজন নিয়ে সুইটির বাসায় ঢুকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাদের আহত করেন।
সুইটি বেগমের স্বামী আবুল কালাম ঢালী বলেন, এরশাদ ছাত্রলীগ করে, তাই আমাদের সব সময় ভয়ভীতি দেখায়। গতকাল সামান্য ব্যাপার নিয়ে সুইটির সাথে ঝগড়া হয়। পরে এরশাদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাসায় ঢুকে আমার স্ত্রী ও মেয়েদেরকে মারধর করে। আমি এ হামলার বিচার চাই।
এদিকে, অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান এরশাদের সাথে যোগযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মহসিন মাদবর বলেন, এরশাদ যদি এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/৯ জুন ২০১৮/হিমেল