শেরপুর সদর হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামী লাপাাত্তা হয়েছে। স্ত্রীকে গুরতর আহত অবস্থায় স্বামী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং স্ত্রীর সাথে স্বামী হাসপাতালেই অবস্থান করে। আজ সোমবার স্ত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে লাশ রেখেই স্বামী লাভলু পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে খোঁজ-খবর করে।
নিহত গৃহবধূর নাম শেফালি(২৩) স্বামীর নাম লাভলু ড্রাইভার।পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা, স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী শেফালির মৃত্যু হয়েছে এবং ধরা পড়ার ভয়ে লাশ রেখেই লাভলু পালিয়েছে। লাভলুর বাড়ি সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের হাতি আগলা এলাকায়। তবে এক সন্তানের জনক লাভলু স্ত্রীপুত্র নিয়ে বাড়ির অদূরে কুসুমহাটি বাজারে জনৈক মানিকের বাড়িতে ভাড়া থাকত। বাড়ির মালিক মানিকের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া কণ্যা মনোয়ারা খাতুন ও আশেপাশের লোকজন জানিয়েছে তুচ্ছ ঘটনায় ৭ জুলাই শনিবার লাভলু স্ত্রী শেফালিকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, প্রেমের সম্পর্ক করে লাভলুর সাথে আড়াই বছর আগে ময়মনসিংহের তারাকান্দার ১৪ নং ই্উনিয়নের বানিহালা এলাকার দিনমজুর মোহাম্মদ আলীর মেয়ে শেফালীর(২৫) সাথে বিয়ে হয়। তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। গত ৭ জুলাই রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে বাবলু তার স্ত্রীকে বেদম প্রহার করে আহত করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেফালির ভর্তি ফাইলে রোগের বিবরণে লিখা আছে, শারীরিক নির্যাতন ও পেটে ভোতা অস্ত্রের আঘাত। পরে আজ ৯ জুলাই সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শেফালী মারা গেলে ঘাতক বাবলু লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। সদর থানার ওসি(তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছে, সুরতহাল রির্পোটে নিহতের ঘাড়ের হাড় ভাঙ্গা ও তলপেটে আঘাতের দাগ রয়েছে। এ ঘটনায় খবর লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নাহিদ কামাল কেয়া জানিয়েছে, নির্যাতনের কারণেই শেফালির মৃত্যু হতে পারে এবং লাশময়না তদন্তের ব্যবস্থা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার