নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টা হিসেবে মালিক-শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় খুলনায় যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্দোলনরত বাসে শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা বাস চালাচ্ছেন না।
শনিবার সকাল থেকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, রয়্যালের মোড় ও শিববাড়ির মোড় থেকে অভ্যন্তরিন ও দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। বাস না পেয়ে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল, ভ্যান, মাহেন্দ্রে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে অভ্যন্তরিণ রুটের যাত্রীরা চলাচল করছেন।
এদিকে শনিবার বেলা ১১টায় থেকে খুলনার রূপসায় কুদির বটতলায় যানবাহনের ফিটনেস ও লাইসেন্স পরীক্ষা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিআরটিএ। এসময় জেলা প্রশাসক মো. আমিন-উল আহসান ও পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের প্রথম দিনে ভ্রাম্যমান আদালতে শতাধিক গাড়ির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. আমিন-উল আহসান জানান, বাস মালিকরা সহযোগিতা করলে সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ জানান, অভিযানের প্রথম দিনে গাড়ির লাইসেন্স ও ফিটনেস না থাকার কারনে শতাধিক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর