কুড়িগ্রাম থেকে বিদেশি পিস্তুল ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ পুরাতন জেএমবির সদস্য ও জেলা ইছাবার প্রধানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার গভীর রাতে কুড়িগ্রাম জেলার ঢুসমারা উপজেলার দিয়ারচর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার ঢুসমারা উপজেলার দিয়ারচর কৌনাইছাপাড়া গ্রামের মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে জেএমবির কুড়িগ্রাম জেলার ইছাবা (সামরিক) প্রধান তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তোতা মিয়া (৩০), একই এলাকার মৃত আফছার আলীর ছেলে জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৩০) এবং একই এলাকার মৃত আ. সামাদ আকন্দের ছেলে জেএমবি সদস্য আব্দুল হামিদ (৬০)।
শনিবার সকাল ১১টায় বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা তার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ জানান, গত ২৯ জুলাই রংপুর জেলার গংগাচরা উপজেলার থেকে গ্রেফতারকৃত ৪ জেএমবির সদস্যর স্বীক্তারোক্তিতে প্রাপ্ত তথ্যে কুড়িগ্রাম জেলার ঢুসমারা উপজেলার দিয়ারচর এলাকায় শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টায় অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং একটি বিদেশি ৭.৬৫ পিস্তুল, ৪ রাউন্ড গুলি, ২ টি ম্যাগজিন এক বোতল সালফিউরিক এসিড, দুটি কৌটায় ১ কেজি বিস্ফোরক পাউডার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের অভিযানকালে রংপুর জেলার পীলগঞ্জ থানা দাওয়াহ শাখার প্রধান ফুয়াদসহ ৫ জন জেএমবি সদস্য পালিয়ে যায়। পলাতকরা হলো, দাওয়াহ প্রধান ফুয়াদ ওরফে নিয়াজ (৩২), ইছাবা (সামরিক) সদস্য মো: মেরাজ, ইছাবা সদস্য তোহা ওরফে খয়রুল, ইছাবা সদস্য কামরুল ও ইছাবা সদস্য আমিন। পলাতকদের গ্রেফতারের পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান গ্রেফতারকৃতদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হাজির করে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ফিরোজ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, মকবুল হোসেন, সনাতন চক্রবর্তী, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে এ আলম সিদ্দিকীসহ উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/৪ আগষ্ট ২০১৮/হিমেল