ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জে হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। রবিবার দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে ডিএমপির একটি পুলিশের ভ্যানে এই হামলা করে শিক্ষার্থীর পোশাক পড়া কয়েকজন যুবক।
ঢাকা থেকে যাওয়া সেই পুলিশ পিকআপ ভ্যানটি শিমরাইল মোড় হয়ে ডেমরা থানায় যাওয়ার সময় মাদানীনগর এলাকায় পৌঁছালে একদল যুবক পুলিশের কাগজ পরীক্ষা করে। এসময় তাদেরকে কাগজপত্র সরবরাহ করলেও হঠাৎ করে শিক্ষার্থীরা সেই ভ্যানের গ্লাস ভাংচুর করে বলে জানিয়েছেন সেই পিকআপের ড্রাইভার কনেস্টবল সুনীল।
এছাড়া সেই পুলিশ ভ্যানের চালক সুনীল ও কনেস্টবল ফরহাদকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে জখম করে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীদের কাউকে ঘটনাস্থলে পায়নি বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটু। তিনি বলেন, স্কুল ছাত্রদের পোশাক পড়ে বহিরাগতরা এ হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে রবিবারও কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থিরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সকাল থেকে তারা মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন চালকদের লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজ-পত্র চেক করতে থাকে।
এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২ টায় একই মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-হোমনা সড়কের বিআরটিসি একটি বাসে (নং-ঢাকা মেট্টো ব-১১-৫১৭৯) ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। অপরদিকে দুপুর ১২ টায় ঢাকা-কুমিল্লাগামী একটি বাস সানারপাড় এলাকায় পৌছলে ছাত্ররা কাগজ দেখতে চায় চালকের কাছে। কিন্তু চালক কাগজ না দেখিয়ে গাড়ি চালালে শিক্ষার্থীরা ঐ ঢিল ছুঁড়ে পরিবহনটির কয়েকটি গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
এরপর শিক্ষার্থীরা দুপুর পৌনে ১ টায় চিটাগাংরোড মোড়ে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদেরকে সরে যেতে বলে। এতে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ সরে যায়। শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে আবারও মহাসড়কে যানবাহনগুলোর কাগজ-পত্র পরীক্ষা করতে থাকে। একই সময় তারা মহাসড়কে চলাচলরত পরিবহনগুলোতে শৃঙ্খলভাবে চলতে বাধ্য করে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর