‘ফেসবুকের তথ্য নিয়ে সাংবাদিকরা বিভ্রান্ত হবেন না। ফেসবুক হল ব্যক্তিগত তথ্য, এটা সংবাদের তথ্য হতে পারে না। যদি কখনো ফেসবুক থেকে তথ্য নেয়া হয়, তাহলে অবশ্যই তা যাচাই-বাছাই করে সংবাদে দিতে হবে।’
আজ মাদারীপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
মাদারীপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আইন ও আচরণবিধি সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো জানান, ‘কয়েকদিন যাবত দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে যেসব বিষয় ভাইরাল হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের চিহ্নিত করে আটক করা শুরু করছে। জিগতলার ঘটনায় সেই মেয়েকে (কাজী নওশাবা) ইতোমধ্যে আটক করেছে। আর বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, শীঘ্রই তাকেও গ্রেফতার করা হবে। কেউ অন্যায় করলে রেহাই পাবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আসতে হবে।’
তিনি এসময় সাংবাদিক নিবন্ধনের বিষয় বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে রয়েছে। শীঘ্রই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয় বলেন, ‘সাংবাদিকদের নির্যাতনের বিষয়টি আমাদের জানা আছে। আমরা কাউন্সিলের পক্ষ থেকে একটি যুগপোযুগি আইন প্রণয়নের উদ্যেগ নেয়া হয়েছে।’ পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম। এসময় মাদারীপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার আচারণবিধি ও আইন নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহজাহান খান, গোলাম মাওলা আকন্দ, সেলিম ফরাজী, রিপনচন্দ্র মল্লিক, বেলাল রিজভী, সাগর হোসেন তামিম, মেহেদী হাসান সোহাগ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার