কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে হাকিমপুরে বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বীজ তলা লালচে রঙ ধরেছে এবং পচন ধরেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তবে এর ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে জানান হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা নাজনীন।
হাকিমপুরের জালালপুর গ্রামের কৃষক তাজ, শরিফুল, আসলাম জানান, শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। ঘনকুয়াশা ও শীতের কারণে বোরোর বীজগুলো লাল হয়ে যাচ্ছে, বীজগুলো মরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওষুধ প্রয়োগ করেও লাভ হচ্ছে না। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী বীজতলায় বাড়তি পানি দিয়েও তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। শীত এভাবে পড়তে থাকলে অধিকাংশ বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা নাজনীন জানান, চলতি বছরে হাকিমপুর উপজেলায় বোরো চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪৫০ হেক্টর জমিতে। সে অনুযায়ী হাকিমপুরে বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬৬ হেক্টর জমিতে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকার কারণে কিছু কিছু জায়গার বীজতলায় কোল্ড ইনজুরি দেখা দিয়েছে। তবে আশংকার কারন নেই। এসব সমস্যায় আমরা কৃষকদের বীজ তলায় পানি দেওয়ার জন্য এবং যেসব জায়গায় কোল্ড ইনজুরি হচ্ছে সেসব জায়গায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছি। এতে বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার