কক্সবাজারের চকরিয়ায় অপহরণের ২০ ঘণ্টা পর আড়াই বছর বয়সি মো.আল ওয়াসীয়ার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মাতামুহুরীর ব্রিজের কাছ থেকে ওই শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।
এঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে মুন্নী আক্তার নামের এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত মুন্নী আক্তার ৩নং ওয়ার্ডের বাটাখালী এলাকার খোন্দকার পাড়ার খলিলুর রহমানের মেয়ে।
নিহত শিশু মো.ওয়াসিয়া চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার সাহাবউদ্দিন ও রুনা আক্তার দম্পতির ছেলে।
শিশুর আত্মীয় ও চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর মো.রেজাউল করিম বলেন, সোমবার বিকালে শিশু ওয়াসীয়া ও তার চার বছর বয়সি বোন বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। এসময় বোরকা ও নেকাব পরিহিত এক মহিলা ওয়াসীয়ার হাতে একটি চিপস দিয়ে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। ছেলেকে কোথাও না পেয়ে রাতে চকরিয়া থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে মুন্নী আক্তার নামের এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
তিনি আরো বলেন, সকাল ১০টার দিকে মাতামুহুরী ব্রীজের নিচে একটি শিশু পড়ে থাকতে দেখে খবর পেয়ে পুলিশসহ আমরা গিয়ে ওয়াসীয়ার লাশ উদ্ধার করি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, শিশু ওয়াসীয়াকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর সারারাত পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। কিন্তু সকালে মাতামুহুরী নদীর ব্রিজের কাছ থেকে ওই শিশুর বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মুন্নী আক্তার নামে একজন আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কি কারণে শিশু ওয়াসীয়াকে হত্যা করা হয়েছে তা জানতে কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে মাঠে কাজ করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার