শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবা মো. ফজল হককে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোররাতে উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নে বড় ঝাউয়েরচর ছিটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার মো. ফজল হকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী ও ধর্ষিতার মা পলি বেগম।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বড় ঝাউয়েরচর ছিটপাড়া গ্রামের ওই কিশোরীর আসল বাবা মো. শফিকুল ইসলামের সাথে তার মা পলি বেগমের দাম্পত্য জীবন ভেঙে যায়। এরপর পলির সাথে ঝাউয়েরচর ছিটপাড়া গ্রামের মো. ফজল হকের সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর পলির সন্তানের ঠাঁই হয় শেরপুর জেলা শহরের চাঁপাতলী সরকারি শিশু সদনে (এতিম খানায়)। শিশু সদন থেকেই মেয়েটি পড়া-লেখা করছে। এ অবস্থায় শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) ওই ছাত্রী এতিমখানা থেকে ছুটি নিয়ে মাকে দেখতে ঝাউয়েরচর ছিটপাড়া গ্রামে আসে। তখন থেকেই মেয়েটির ওপর সৎ বাবার কুদৃষ্টি পড়ে। এরই এক পর্যায়ে রবিবার রাতে মা পলি বেগমকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ফজল। এ সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে সোমবার ভোর রাতে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় ওই মেয়ের চিৎকারে এলাকাবাসীসহ অন্যান্যরা এগিয়ে এসে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফজলকে আটক করে পুলিশে দেয়। এদিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ অভিযুক্ত ফজল হককে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন