সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন বাড়িতে অবৈধভাবে নেওয়া প্রায় পাঁচ হাজার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এক অভিযানের মাধ্যমে এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
‘সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে’র ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে জব্দ করা হয় অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত নিম্নমানের অসংখ্য পাইপ, রাইজার ও গ্যাসের চুলা। সংযোগ বিছিন্ন কাজে সাভার তিতাস গ্যাসের প্রায় ৯০ সদস্যের শ্রমিকদের একটি দল অংশ নেয়। অভিযানে ওই এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করা হয়।
ভুক্তভোগী ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানান, আশুলিয়ার এসব এলাকায় টাকার বিনিময়ে প্রতিটি বাসা বাড়িতে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয় এলাকার প্রভাবশালীরা। পরে আজ সোমবার সকাল থেকে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এছাড়া ১২টি মূল পয়েন্ট থেকে মাটির নিচে থাকা গ্যাস সরবরাহের কয়েক হাজার পাইপ উদ্ধার করা হয়। পরে ব্যবহৃত রাইজার খুলে নিয়ে লাইনগুলো সিলগালা করা হয়। গ্যাস সংযোগের পাইপগুলো ছিলো অত্যন্ত নিম্নমানের। যেকোনো সময় তা বিস্ফোরণ ঘটে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছিলো এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, কতিপয় প্রভাবশালী অসাধু ব্যাক্তি এ এলাকার লোকজন থেকে টাকা নিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়েছিলো। আজ সকাল থেকে এ এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করেছি। পরবর্তীতে সাভার ও আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ গ্যাস লাইন পর্যায়ক্রমে বিচ্ছিন্ন করা হবে। সে অভিযান এ মাস জুড়ে চলবে।
এসময় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন কাজে উপস্থিত ছিলেন, ‘সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে’র উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান, ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অভিযানের সময় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন