ফণীর প্রভাবে নেত্রকোনায় ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি হলেও সকাল থেকে এর গতি বেড়েছে। ভোর থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঝড়ের গতি ৮০ থেকে ১০০ এর কাছাকাছি নির্ধারণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বিকেল নাগাদ কমে ৬০/৭০ চলে আসবে। এদিকে বিকেলে নেত্রকোনা জামালপুর হয়ে ফণী ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রবেশ করবে বলেও জানা গেছে।
জেলায় গতকাল শুক্রবার থেকে আজ সকাল শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৯ মিলিমিটার। আগামীকাল পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে ১১০ বা ১২০ এর মতো হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া টানা বৃষ্টিতে নদ নদীর পানি বাড়লেও তা বিপদসীমার নীচে রয়েছে বলে জানান পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান। তিনি জানিয়েছেন, স্বোমেশ্বরী নদীতে পানি ৮.২৮ মিটারে রয়েছে, এখানে বিপদসীমা ১৩ মিটার। কংশ নদীতে ৪.২, এখানে বিপদসীমা ৬ মিটার। ধনু ও উব্ধাখালিতে পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
অন্যদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান জানান, হাওরের ধান ৯০ ভাগ কাটা শেষ হয়ে গেছে এপ্রিলের ২ তারিখের মধ্যেই। সুতরাং হাওরে ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই। তবে অতি বৃষ্টির জন্য সবজি সামান্য পরিমাণে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া এখনো কোথাও ঝড়ে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোর রাত থেকেই জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম সকল উপজেলাসহ প্রত্যেককে সতর্ক থাকার আহবান করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা