ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার ভোররাতে সদর উপজেলা কোড়ালিয়া গ্রামে ঘরচাপা পড়ে রানী বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূ এবং লালমোহন উপজেলার চরভুতা এলাকায় জোয়ারের পানিতে ডুবে হাসান নামে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ঝড়ে দুই শতাধিক বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। অপর দিকে মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলায় বাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত হয়ে দুই সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন চর নিজামে শতাধিক গবাধি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ভোলায় আশ্রয় কেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
নিহত রানী বেগমের স্বামী সামছুল হক জানান, রাত ৪ টার দিকে ঝড়ের আঘাতে তার বসত ঘর ভেঙে পড়ে। ঘরে অবস্থানরত ৬ জনের মধ্যে রানী বেগম ঘরচাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপর দিকে লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নে মো. জসিমের ছয় বছরের ছেলে মো. হাসান জোয়ারের পানিতে ডুবে মারা গেছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আহমেদ জানান, মনপুরা উপজেলায় প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। দ্রুত ওই বাঁধ সংস্কার করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন