পাহাড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৈশাখী পূর্ণিমাকে (বৌদ্ধ পূর্ণিমা) ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বিদেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের বিহার ও মন্দিরগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভির আওতায় আনা হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় পুলিশের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান রাঙামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করার লক্ষ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয় বিশ্লেষন করে বৌদ্ধ মন্দির কেন্দ্রিক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো কিছু হালকাভাবে নেবো না।
বুধবার বেলা ১১টায় রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফি উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর জাহাঙ্গীর আলম, রাঙামাটির ১০টি উপজেলার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির আরও বলেন, আগামী ১৮ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তা নিয়ে বৌদ্ধ মন্দির সমূহে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাগ, পার্স, ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে না আসতে এবং বৌদ্ধ মন্দিরসমূহে সিসিটিভি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র স্থাপন এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের জন্য বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম