২৮ মে, ২০১৯ ১৬:৩৯

শার্শা-বেনাপোলে ভিজিএফের আওতায় ২৫ হাজার দুস্থ পরিবার

বেনাপোল প্রতিনিধ

শার্শা-বেনাপোলে ভিজিএফের আওতায় ২৫ হাজার দুস্থ পরিবার

ফাইল ছবি

যশোর জেলার শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌরসভার অতি দরিদ্র ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২৫ হাজার দুস্থ পরিবার ভিজিএফ কার্ডের আওতায় আসছে। তাদের জন্য ৩৭১ দশমিক ৮৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভিজিএফ কার্ডের তালিকায় শতকরা ৭০ জন নারীকে নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে অতি দরিদ্র পরিবারকে ভিজিএফ খাদ্যশস্য সহায়তা আগামী ৩ জুনের মধ্যে শেষ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়রদের বরাদ্দপত্র সরবরাহ করাসহ অবহিত করা হয়েছে।

ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ডে ভিজিএফ কমিটি ঠিকমত যাচাই বাছাই ও বিতরণ করছে কিনা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে নিজে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তদারকি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দুস্থদের মাঝে কার্ড প্রতি ১৫ কেজি হারে চাল বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে শার্শা উপজেলায় ২০ হাজার ১৭০ জনের জন্য ৩শ‘২ দশমিক ৫৫০ মেট্রিক টন ও বেনাপোল পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ জনের বিপরীতে ৬৯ দশমিক ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে এর কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা।

অতি দরিদের জন্য বরাদ্দকৃত ওই চাল স্থানীয় খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করে সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করে উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যাবে ওই বরাদ্দ।

ইউনিয়ন ভিজিএফ কমিটি অতি দরিদ্র বাছাই করে করে কার্ড বিতরণ করবেন। সম্প্রতি বন্যাক্রান্ত ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ অতিদরিদ্রকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যে পরিবারের মালিকানায় কোনো জমি নেই বা ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, দিন মজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, নারী শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভলশীল, উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্যে কাজ করতে হয়, উপর্জনশীল কোনো সম্পদ নেই, স্বামী পরিত্যক্তা বা তালাকপ্রাপ্ত নারী, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্রঋণ প্রাপ্ত হননি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার, অধিকাংশ সময় দুবেলা খাবার পায় না- এমন ১২ শর্তের মধ্যে কমপক্ষে ৪টি শর্ত পূরণ করে এমন ব্যক্তি দুস্থ বা অতিদরিদ্র বলে গণ্য হবেন। তারা এই সুবিধার আওতায় আসবে।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল জানান, উপকারভোগীদের তালিকা এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে যাতে কোনো অবস্থাতেই একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ না পায়। এ ছাড়া উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শতকরা কমপক্ষে ৭০ জন নারীকে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তদারকিসহ সঠিক পরিমাণে খাদ্যশস্য বিতরণে নিশ্চয়তা বিধান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ চাল নিয়ে কেউ নয়-ছয় করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর