ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া ইউনিয়নে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তাটি পাকা করার কারণে কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহর ব্যবধানেই বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের নন্দীবাড়ি থেকে জোনাকীর টেক রাস্তার শেষ অংশ গোয়ারী ওয়াহদ কেরানীর বাড়ি হতে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ করা হয়। দীর্ঘদিন আটকে থাকা কাজটি তিন মাস পূর্বে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তৃপ্তি স্টিল বিতান কাজটি শুরু করেন এবং গত ঈদের তিন দিন আগে শেষ করা হয়। রাস্তার কাজ শেষ করার পর পরই বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ রাস্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে রাস্তায় নিন্মমানের কাজ হওয়ায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগকারী গোয়ারী গ্রামের মৃত কুদ্দুস মেম্বারের ছেলে মো. হায়দর আলী জানান, রাস্তাটি নির্মাণে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। নিম্নমানের ইট-সুরকি ব্যবহারসহ গর্ত কম করে সুরকি ও বালির পরিমাণ ছিল খুবই কম। তাছাড়া রাস্তার উপরে পিচ ঢালাইয়ে বিটুমিন ও মালামাল কম দেয়ায় কাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন স্থানে রাস্তার সাইডে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমনকি কার্পেটিংও উঠে যাচ্ছে।
ঠিকাদার আরিফ রব্বানী সবুজ জানান, রাস্তাটি নির্মাণে কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়েই তার গ্রামের বাড়ি যেতে হয়। তাই যতদুর সম্ভব ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছেন। এতে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে গিয়ে বেশ টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে।
ভালুকা উপজেলা এলজিআরডি অফিসার ফরিদুল ইসলাম জানান, রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে, তা আমার মনে হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল জানান, রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক