লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঝূঁকিপূর্ণ ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই জীবনের ঝূঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ এসব স্কুল ভবনে পাঠদান চালানো হচ্ছে। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের ভবনগুলো জরাজীর্ণ হওয়ায় কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কোনও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, রায়পুর উপজেলায় ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও এর অবকাঠামো।
বেশি ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব কেরোয়া, চর পালোয়ান, শেখ আব্দুল্লাহ্, পূর্ব চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী, চর আবাবলি এস সি, কেওড়াডগী চরপক্ষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বামনী আল-আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঝাউডগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। এসব ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় অনেকটা আতঙ্কের মধ্যেই পরিচালিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলোর ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা। বেরিয়ে এসেছে ছাদ ও পিলারে মরিচীকা ধরা লোহার রড। সামান্য বৃষ্টিতেই ভবনের ছাদ থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। যেকোনও মুহূর্তে এসব বিদ্যালয়ের ভবন ধসে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
চর মোহনা বিএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ এসব ভবনে পাঠদান করতে হচ্ছে। এতে করে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম মোস্তাক আহম্মেদ জানান, ঝূঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ এলে বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম