২১ জুলাই, ২০১৯ ২০:৪৩

দুর্ভোগ কমেনি রাঙামাটির বরকলে ১৮ গ্রামের মানুষের

ফাতেমাা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:

দুর্ভোগ কমেনি রাঙামাটির বরকলে ১৮ গ্রামের মানুষের

দুর্ভোগ কমেনি রাঙামাটির বরকলের প্রায় ১৮টি গ্রামের মানুষের। এখনো রয়েছেন পানিবন্ধী। যাতায়াতের ভোগান্তি, সংকট খাবার ও বিশুদ্ধ পানির। তার মধ্যে মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে পানিবাহিত রোগ। ত্রাণ মিললেও চাহিদা মিটছেনা পরিবারের। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এ অঞ্চলে পানিবন্ধী মানুষগুলো। এরই মধ্যে বিদ্যালয় ও কলেজে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে এসব গ্রামের শিক্ষার্থীদের। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে  রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় পানিবন্ধী রয়েছে-আন্দার মানিক বাজার, খুব্বাং বাজার, ঠেগামুখ বাজার, শ্রীনগর বাজার, কুকিছড়া বাজার, ভালুক্ক্যাছড়ি, তাগলকবাগ, ছোটহরিনা, আমতলা, ভুষনছড়া বাজার, এরাবুনিয়া বাজার, বড় কুড়াদিয়া সরকার পাড়া, কলাবুনিয়া বাজার ও চাইল্যাতুলি, বরুনাছড়ি ও বিলছড়া গ্রাম। পানিবন্ধী হয়ে এখনো মানবতর দিন কাটছে তাদের। যাতায়াতে দুর্ভোগ বেড়েছে চাকরীজীবি ও শিক্ষার্থীদের। হ্রদ তীরবর্তী গ্রামের রাস্তা গৌ-চারণ ভূমি, শুকটি মাছ শুকানোর স্থানসহ মানুষের বাড়ি-ঘর ডুবে গেছে। ওই অঞ্চলের ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছে অনেকেই। আবার অনেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এ  পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকদের ফসলি জমি।

বকলের আইমাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমা বলেন, চলতি বছর অস্বাভাবিকভাবে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে। তাই হ্রদ তীব্রর্তী মানুষের বসতিগুলো ডুবে গেছে। এছাড়া সড়ক, ব্রীজ ও কালভার্ট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে এসব গ্রামের মানুষগুলো। 

বড়হরিনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিলাময় চাকমা বলেন, ঘোলা, ময়লার কারণে দূষিত হয়েছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। তাই এ পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি ঢলে ঘোলা, ময়লাযুক্ত ও দূষিত হয়ে কাপ্তাই হ্রদের পানির ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এমনকি কাদাযুক্ত পানি ভূ-গর্ভে প্রবেশ করায় রিংওয়েল এবং নলকূপগুলো থেকেও ঘোলা পানি বেরিয়ে আসছে। দূষিত পানি কারণে বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এছাড়া পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা উপড়ে পড়া গাছ-গাছালি, লতাগুল্ম ও বিস্তর কচুরিপানা কাপ্তাই হ্রদজুড়ে সৃষ্টি করেছে ভাসমান জঞ্জালও। এতে হ্রদে লঞ্চচলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। 

রাঙামাটি বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া পারভীন বলেছেন, কয়দিন বৃষ্টিপাত কম হওয়াতে। কাপ্তাই হ্রদের পানি স্তির রয়েছে। বৃষ্টিপাত কমে আসলে পানিও কমতে শুরু করবে। পানিবন্ধী পরিবারগুলোকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর