যৌতুকের মামলা করায় মাগুরার শলিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে ফাতেমা বেগম কে (২৪) কুপিয়ে জখমসহ পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে তার স্বামীসহ দুর্বৃত্ত একটি গ্রুপ। আহত ফাতেমা মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফাতেমার অভিযোগ, একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে হুমায়ুনের সাথে ৬ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তাদের ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। মেয়েটি জন্মের পর থেকেই মাদকাসক্ত স্বামী হুমায়ুন তাকে যৌতুকের দাবিতে নানাভাবে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের স্বীকার হয়ে সে একাধিকবার বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকদের অনুরোধ ও নিজের কন্যা শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে সে ফিরে আসে। এতে নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। ফাতেমা বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং গত ৩ আগস্ট স্বামী হুমায়ুনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করে। এ মামলায় হুমায়ুন ৫ আগস্ট জেলে যায়। ২৭ আগস্ট জামিনে মুক্তি পায়। ওই দিনই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে ফাতেমা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে এলে পাশে ওৎ পেতে থাকা হুমায়ুনসহ একটি দুর্বৃত্ত গ্রুপ তার মুখ চেপে ধরে পার্শবর্তী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় হমালাকারিরা এক ধরনের দাহ্য পদার্থ তার শরীরে ছুড়ে মারে। এ সময় ফাতেমার চিৎকারে তার বাবা সেখানে এলে তাকেও মারধর করে। পরে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ফাতেমার স্বামী পলাতক রয়েছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মশিউর রহমান বলেন, ফাতেমা বেগমের শরীরে একাধিক জায়গায় কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছিল।
এ ব্যাপারে শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন