যশোরের শার্শায় ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আরিফ আহম্মেদ। তিনি বলেন, এখন ধর্ষণের সাথে কে বা কারা জড়িত তা বের করার জন্য ডিএনএ টেস্ট করা দরকার। এজন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া আছে। সেগুলো সম্পন্ন হলেই ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
গত মঙ্গলবার ভোর রাতে যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের এক নারী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খাইরুল আলম ও তার সোর্স কামরুল তাকে ধর্ষণ করেন।'
এ ব্যাপারে শার্শা থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই নারী। তবে মামলায় আসামির তালিকায় এসআই খাইরুলের নাম নেই।
এ বিষয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, তিনি ওই নারীর সাথে কথা বলেছেন। অভিযুক্ত এসআই খাইরুলসহ চারজনকে ওই নারীর সামনে হাজির করা হয়। তখন ওই নারী বাকি তিনজনকে শনাক্ত করতে পারলেও এসআই খাইরুলক শনাক্ত করতে পারেননি। পুলিশ সুপার বলেন, অভিযোগটি গুরুতর। এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক, কেউই রেহাই পাবে না।
এদিকে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালাউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক/মাহবুব