কিশোর গ্যাং ও গ্যাং লিডার রোধে পিরোজপুর জেলা পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা জুড়ে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
শহরের বিভিন্ন স্থানে রাতে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা রেখে বাহিরে আড্ডা দিয়ে কোন অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্যই এ অভিযান বলে জানান পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান। এ সময় জেলা পুলিশ স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ৯২ জনকে আটক করে। এর মধ্যে পিরোজপুরর সদর উপজেলা হতে ৩০ জন, নাজিরপুর উপজেলা থেকে ২২ জন, ভান্ডারিয়া উপজেলা হতে ১৭ জন, মঠবাড়ীয়া উপজেলা থেকে ৮ জন, ইন্দুরকানী উপজেলা হতে ১ জন, কাউখালী উপজেলা হতে ৪ জন এবং নেছারাবাদ উপজেলা হতে ১০ জনকে আটক করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্যাং কালচার একটি অপরাধের নতুনমাত্রা। কিশোর অপরাধীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় বড় অপরাধের সাথে যুক্ত হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল/কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রাতে বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত হয়। পড়াশোনা রেখে রাতে বাহিরে কেউ আড্ডা দিতে পারবে না। পিরোজপুর জেলায় কোনো কিশোর গ্যং লিডার সৃষ্টি হতে দেয়া হবে না। আজ থেকে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সন্তান কোথায় থাকে কার সাথে আড্ডা দেয় এবং প্রয়োজন ছাড়া রাতে বাহিরে থাকে কি না সেই দিকে নজর রাখতে হবে অভিভাবকদের। উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা যাতে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিংসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপরাধে লিপ্ত না হতে পারে এজন্য অভিভাবক, সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ।
এ অভিযানে পিরোজপুরের জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা আজাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমাদ মাঈনুল হাসান, অফিসার ইনচার্জ সদর থানা, ওসি ডিবিসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মুচলেকা ও অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে রাতেই থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব