৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য শুরু হয়েছে শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিতে প্রজনন মৌসুমে সরকারি এই অভিযান সফল করতে পূর্বে থেকেই জেলেদের করা হয়েছে সচেতন। তারপরও যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামবে তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ।
পদ্মা নদীতে বুধবার অভিযানের প্রথম দিনে শরীয়তপুরের কোনো জেলে মাছ আহরণের জন্য তাদের নৌকা ভাসায়নি। অভিযান মেনে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তাদের নৌকা গুলো পদ্মা নদীর বিভিন্ন শাখা নদী ও বিভিন্ন খালের মধ্যে নিরাপদে রেখে জাল নিয়ে যায় বাড়িতে।
মাছ বৃদ্ধির জন্য অভিযানটি প্রয়োজন স্বীকার করে জেলেরা জানায়, অভিযান তারা মানেন। তবে অভিযানে যে সাহায্য দেয়া হয় তা প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রতুল। সাহায্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দ্রুত সহায়তার আবেদন তাদের। সহায়তা যথা সময়ে না পেলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মাছ আহরণে নেমে পড়বে তারা।
প্রথম দিনের অভিযানে নদীতে কোনো নৌকা-জাল দেখতে না পেয়ে সন্তুষ্ট স্থানীয় মানুষ। তারা অভিযান সফল করার দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী জানান, তারা মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন। জেলেদের পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তা পেতে চাহিদা প্রশাসনের কাছে দেয়া হয়েছে। বরাদ্ধ পেলেই তাৎক্ষণিক জেলেদের মাঝে চাল সহায়তা প্রদান করা হবে।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক জানিয়েছেন, অভিযান সফল করতে জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির নানা কার্যক্রম পূর্ব থেকেই করা হয়েছে। মাছ ধরা থেকে জেলেরা বিরত থাকবেন এমনটাই আশা তাদের। দুই একদিনের মধ্যে সরকারিভাবে পরিবার প্রতি ২০ কেজি করে চাল সহায়তা জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ আহরণ পরিবহন ও বিক্রি করলে তাদের ধরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মৎস্য আইনে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শরীয়তপুরে প্রায় ২৫ হাজার জেলে পরিবার রয়েছে। যার অর্ধেক রয়েছে জেলে কার্ডধারী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন