নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে (১৫) ১০ দিন পর কক্সবাজার সদর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ সময় পুলিশ সায়েদুল হক রুবেল (২১) নামে এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাকৃত রুবেল কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি গ্রামের নুরনবীর পালক ছেলে। তাকে শুক্রবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালীতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
অপহৃতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১ অক্টোবর মঙ্গলবার দাগনভূঞা উপজেলার বরইয়া নামক এলাকার আলা উদ্দিন ভূঞা বাড়ির কোরবান আলীর মেয়ে (১৫) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রামদিতে তার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এসময় সায়েদুল হক রুবেল ও তার সহযোগীরা ঐদিন সন্ধ্যায় স্কুল ছাত্রীটিকে অপহরণ করে কক্সবাজার নিয়ে একটি বাসায় আটকে রাখে। অপহরণের পর অপহৃতার পরিবার তাকে উদ্ধার করার সকল চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর অপহৃতার মা রাহেলা আক্তার সুইটি ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে সায়েদুল হক রুবেলসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে (মামলা নং-০৯, তারিখ-১০/১০/২০১৯ইং)।
মামলার দায়েরের পর কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে “মোবাইল ট্র্যাকিং” এর মাধ্যমে কক্সবাজার সদরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি বাসায় অভিযান চালায়। এসময় অপহরণকারী রুবেলকে গ্রেফতার পূর্বক অপহৃতাকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার রাতেই কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন জানান, মামলার প্রধান আসামি রুবেলকে শুক্রবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অপহৃতা স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য নোয়াখালীতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল