১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ২৩:৫১

ঘুমন্ত তুহিনকে বের করে আনে বাবা, হত্যা করে চাচা

অনলাইন ডেস্ক

ঘুমন্ত তুহিনকে বের করে আনে বাবা, হত্যা করে চাচা

তুহিন

পেটে একটি নয়, দু'টি ছুরি ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় শিশু তুহিনকে। বর্বরতার এখানেই শেষ নয়। তার দুই কান ও গোপনাঙ্গ কেটে নেয়া হয়। পরে পাঁচ বছর বয়সী ওই শিশুর নিথর দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় কদম গাছের ডালে। নিহত তুহিন উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে।  

ঘটনাটি ঘটে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পর সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তুহিনের বাবা-চাচাসহ থানায় নিয়ে পাঁচজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই তুহিনকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশকে জানান বাবা ও চাচা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তুহিন হত্যার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, ঘুমে থাকা শিশু তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান তার বাবা। পরে চাচা ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার তুহিনকে হত্যা করেন। পুলিশের কাছে শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বাবা ও চাচা। হত্যার ঘটনায় সুনামগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তুহিনের চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার। আদালতে হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেন তারা।

তিনি আরও বলেন, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার তুহিনকে হত্যা করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনা তুহিনের বাবার সহযোগিতায় হয়েছে। এ ঘটনায় তুহিনের বাবাও জড়িত। তার সামনেই শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে দিরাইয়ে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশু তুহিনের লাশ। তার পেটের মধ্যে ঢুকানো ছিল দু'টি ছুরি। ডান হাতটি গলায় বাধা রশির ভেতরে ঢুকানো ছিল। বাম হাতটি ঝুলে ছিল দেহের সঙ্গে। কেটে নেয়া হয়শিশুটির কান ও গোপনাঙ্গ। আর তার পুরো শরীর ভিজে ছিল রক্তে। এমন বর্বর-নৃশংসতায় শিশু তুহিনকে হত্যা করা হয়। হত্যার পরে তার মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।


বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর