নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে টেকনাফের জাদিমোড়া ও শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রাথমিকভাবে ৬০ পরিবার যেতে আগ্রহী হয়েছেন। এদের একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে পৌঁছেছে।
এসব পরিবারগুলোর তালিকা পাওয়ার কথা শনিবার রাতে স্বীকার করেছেন টেকনাফ ২৬ নং শালবাগান ও ২৭ নং জাদীমোড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. খালেদ হোসেন।
তিনি বলেন, ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পের ব্লক মাঝিদের দিয়ে তালিকা জমা নেওয়া হচ্ছে। সেটি এখনও চলমান। বাংলাদেশের জন্য এটা অত্যন্ত ভালো দিক, যে তারা স্বেচ্ছায় সেখানে যাওয়ার জন্য সম্মতি জানাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন যেতে আগ্রহী তা নিদিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদেরে লক্ষ্য হচ্ছে এক লাখ রোহিঙ্গা ভাসানচর নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে সরকার আগে থেকেই কাজ করে আসছিল। কেউ স্বেচ্ছায় রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এতো দিন অগ্রগামী হয়নি। যেহেতু এবার রোহিঙ্গারা নিজ থেকেই সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করছে, তাই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ভাসানচর, রোহিঙ্গাদের কাছে ঠেঙ্গার চর নামে পরিচিত, এ দ্বীপে যেতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এখন বেশ সম্মতি পাওয়া যাচ্ছে। এটি অবশ্যই ভালো লক্ষণ। তবে যে তালিকা হাতে পেয়েছি সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়। এখন পযর্ন্ত টেকনাফের শালবাগান ২৬ নম্বর থেকে ২০ পরিবার ও জাদিমোড়া ২৭ নম্বর থেকে ৪০ পরিবারের তালিকা পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সবগুলো শিবিরের রোহিঙ্গা নেতাদের (মাঝি) মাধ্যমে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের একটি করে ফরম দেওয়া হয়েছে। যার ওপরে লেখা ছিল ভাসানচরে স্থানান্তরে আগ্রহী 'বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক'দের তালিকা।
শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক (মাঝি) রমিদা বেগম ও জাদিমোড়ার নবী হোসেন বলেন, বেশ কয়েকটি পরিবার ভাসানচরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে ভাসানচরে উন্নত আবাসস্থল থাকার বিষয়টি রোহিঙ্গাদের ভালো করে বোঝানো গেলে সেখানে যেতে আগ্রহীদের পরিমাণ আরও বাড়বে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা