ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় কালীচরণপুর ইউনিয়নের মগরখালী গ্রামে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর ভগ্নিপতি বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এরই মধ্যে নুর হুসাইন নামে ১ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষণের সাথে জড়িতরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এমনকি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাড়িতে এসে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ধর্ষকের পরিবারের লোকজন। তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না পরিবারটি। তারা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে পুলিশের ভাষ্য-ইতিমধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে মগরখালী গ্রামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রী নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় এলাকার বখাটে আলমগীর, নাহিদ, আশিক, মজিদ, ইমরান, নুর হোসাইনসহ ৭/৮ জন সংঘবন্ধ হয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ফলে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি ভিকটিমের পরিবার কাউকে না জানালেও ধর্ষকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে উপায়ন্তর না পেলে ওই ছাত্রীর দুলভাই বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করে।
সদর থানার ওসি মঈন উদ্দিন জানান, হুমকি দেওয়ার বিষয়টি ঠিক না। ধর্ষকের পরিবার হুমকি দিয়েছে কি-না আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখব। এদিকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। আমরা তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম