ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে বোয়ালমারী থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১২ এর ৮ ধারায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণে সহযোগীতাকারী একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরঘোষপুর গ্রামের (তালাকপ্রাপ্ত) এক সন্তানের জননীকে একই গ্রামের বিদেশ ফেরত সিদ্দিক বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাশ্ববর্তী ভাইয়ের বাড়ি থেকে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে ফাঁকা জায়গায় পৌছালে মহিলাটির পথরোধ করে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী সোমালী মোল্যার বাড়ির নিকট ঈদগাহে নিয়ে যায় এবং অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে বিবস্ত্র করে মোবাইলে নগ্ন ছবি তুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সিদ্দিক। এ সময় সিদ্দিকের সহযোগী মো. হিমাদুল মোল্যা (৩২) ও অজ্ঞাত একজন মহিলাটির হাত পা চেপে ধরে সিদ্দিককে ধর্ষণে সহায়তা করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা মহিলা বাদী হয়ে সিদ্দিক (৩০), জহুরুল মোল্যার ছেলে হিমাদুল মোল্যা (৩২) ও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় রবিবার একটি ধর্ষণ মামলা করে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগী হিমাদুলকে আটক করা হয়েছে। অন্যরা পলাতক রয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ