কিশোরগঞ্জে কৃষক লীগ নেতা মতিউর রহমান (৬০) হত্যা মামলায় আদালত একজনকে ফাঁসি এবং পিতা-পুত্রসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। সোমবার কিশোরগঞ্জের ১ম আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় প্রদান করেন।
নিহত মতিউর রহমান কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি এবং পাঁচলীপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই গ্রামের তৈয়বুজ্জামানের ছেলে মোহাম্মদ ওরফে খোকন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন তৈয়বুজ্জামান এবং তার দুই ছেলে সম্রাট ও রোমান, শমসের আলীর ছেলে আশ্রাব আলী ও আরব আলী, আব্দুস সামাদের ছেলে মজিবুর রহমান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মতিউর রহমানের ভাগ্নে দেওয়ান মিয়াকে রেলওয়ের টিটি পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তৈয়বুর রহমান ৪০ হাজার টাকা নেন। দীর্ঘদিনেও চাকরি দিতে না পারায় এ নিয়ে শালিশও হয়। শালিশে টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু টাকা না দিয়ে তৈয়বুর রহমান তালবাহানা করতে থাকেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। এর জের ধরে ২০১১ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মতিউর রহমান করগাঁও বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন নিহতের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১২ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনকে খালাস প্রদান করা হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন শামীম, ইছাম উদ্দিন, ফজর আলী, বাততু ও ইব্রাহীম।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ