ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। ফেনীর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফেজ আহম্মদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার আদালত হত্যা মামলার রায়ের নকলের কপি দিয়েছেন আসামিদের। রায়ের নকলের কপিটি ২১৯ পৃষ্ঠার বলে জানা গেছে।
গত ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ এ মামলার ১৬ আসামির মধ্যে সকল আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী রায়ে আপত্তি থাকলে রায় ঘোষণার পর থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হয়।
২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানি করেন একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। একইদিন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে ওইদিনই আটক করে।
পরবর্তীতে ৬ এপ্রিল নুসরাতের আলেম পরীক্ষা চলাকালীন কৌশলে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে যায় তার সহপাঠী। ওখানে আগে থেকে অপেক্ষায় ছিল বোরকা পড়া আরো ৪ জন। তারা নুসরাতকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। নুসরাত রাজি না হওয়ায় তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। আগুনে তার শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় সে দিনই নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার