কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল দক্ষিণ পাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে উল্টো প্রতিষ্ঠানের গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে ২০ দিন যাবৎ উধাও রয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি শরিফুল আলম চৌধুরী মুরাদনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জানা যায়, উন্নয়ন তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মিত মাদ্রাসায় না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয় অভিভাবকরা। তার দুর্নীতি নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা অভিযোগ করে ব্যবস্থাপনা কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট। এরপর থেকে ২০ দিন ধরে বিনানুমতিতে সুপার মোস্তাফিজুর রহমান মাদ্রাসায় অনুপস্থিত রয়েছেন।
মাদরাসা শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, সুপারের নানা অনিয়ম ও অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট লিখিত অভিযোগ দেই। নিরুপায় হয়ে পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করি।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শরিফুল আলম চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত মাদরাসার সুপার মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ উন্নয়ন তহবিলের সঠিক হিসাব দিতে পারেননি। তাছাড়া তিনি সপ্তাহে দুইদিন মাদ্রাসায় এসে বাকী চার দিনের স্বাক্ষর করতেন। শুধু তাই নয়, তার অধীনস্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। দিন দিন অনিয়মের মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে একাধিকবার শোকজ করা হয়। শোকজের জবাব না দিয়ে উল্টো মাদ্রাসার গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও টাকা নিয়ে ২০ দিন যাবৎ উধাও হয়ে যান। তার ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নিরুপায় হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুরাদনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগগুলোর বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন। একাধিক ফোন দিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল