ঝালকাঠির রাজাপুরে মৎস্য বিভাগ ও পুলিশের ইলিশ রক্ষা অভিযানে ধস্তাধস্তির পর নিখোঁজ বাখেরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান মৃধার লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনার একদিন পর পালট ও নিয়ামতি এলাকার বিষখালি নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে রাজাপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী আরিফ ও রাজাপুর থানার এএসআই শহীদ (২) এবং রাজাপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী আব্দুল বারেক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে দু’টি টিম ট্রলারে বিষখালি নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে নামে। অভিযান দেখে ট্রলার থেকে কয়েক ব্যক্তি নদীতে ঝাঁপ দিরেও যুবলীগ নেতা মবিবুর রহমান মৃধা ও ট্রলার চালককে ধরে অভিযানের ট্রলারে উঠানোর সময় ট্রলার চালকও নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু যুবলীগ নেতা মবিবুর রহমান মৃধাকে আটক করতে চাইলে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় নদীর পানিতে পড়ে যান তিনি।
কিন্তু যুবলীগ নেতা মবিবুর রহমান মৃধার সহযোগীদের ধারণা ছিল অভিযানে পুলিশ মজিবরকে ধরে নিয়ে গেছে। এসব ঘটনার জেরে উৎসুক জনতা ও স্থানীয়রা নদীর দুই তীরে স্থানীয় লোকজন ঝড়ো হলে নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অভিযানের ট্রলার। পরে যুবলীগ নেতা মবিবুর রহমান মৃধার খোঁজে নামে স্বজনরা, তারা রাতভর জেলার বিভিন্ন থানায় ও মৎস্য অফিসসহ সংশ্লিষ্ট কোন স্থানে তাকে না পেয়ে সকালে নদীতে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় তার লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
তবে রাজাপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী আব্দুল বারেক জানান, যেখানেেএ ঘটনা ঘটেছে, সেখানে তারা অভিযানে যায় নাই। এদিকে ঘটনাস্থল ও লাশ উদ্ধারের স্থান রাজাপুর থানার আওতায় হলেও স্বজনরা সকালে বিষখালি নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে বাখেরগঞ্জের নিয়ামতি তার নিজ এলাকার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ায় রাজাপুর থানা পুলিশ সেখানে না গিয়ে বাখেরগঞ্জ থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
বাখেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম জানান, মাছ ধরতে বা কিনতে গেলে অভিযানের বোট দেখে নদীতে ঝাঁপ দিছিলো। তবে কাদের অভিযান ছিলো তা জানা যায়নি। ওসি বলেন, ঘটনাস্থল ও লাশ উদ্ধারের স্থান রাজাপুরের মধ্যে। তাই ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার ও মামলা তাদেরই (রাজাপুর থানা পুলিশ) করতে হতো কিন্তু তারা করবে না। রাজাপুর থানার ওসি জাহিদ হোসেন জানান, যেহেতু লাশ নিয়ে গেছে বাখেরগঞ্জ থানা এলাকার নিয়ামতি তাই ওই থানার পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক