ময়মনসিংহে উদ্ধার করা খণ্ডিত দেহ ও কুড়িগ্রামে পাওয়া হাত-পা- মাথা একই ব্যক্তির। নিহত ব্যক্তি নেত্রকোনার পুর্বধলার মো. বকুল। এ ঘটনায় নিহতের প্রতিবেশী সাবিনা, তার ভাই ফারুক ও হৃদয় এবং ভাবী মৌসুমীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বকুলকে জয়দেবপুরে তার ভাইয়ের বাসায় নিয়ে গিয়ে সাবিনা তার দুই ভাই ও ভাবীকে নিয়ে হত্যা করে।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, নিমর্ম হত্যার শিকার বকুল ও হত্যাকারীদের বাড়ি নেত্রকোনার পুর্বধলার হোগলা গ্রামে। সাবিনাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করতো বকুল। এনিয়ে উভয় পরিবারে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। একবার সাবিনার বাড়িঘরে হামলাও করে বকুলের লোকজন। নিরূপায় হয়ে সাবিনা বাড়ি ছেড়ে গাজীপুরের জয়দেবপুরে ভাই ফারুকের বাসায় চলে যায়। গত ১৩ জুন একই গ্রামের আবু সিদ্দিকের সাথে সাবিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর বকুলের চক্রান্তে পারিবারিক অশান্তি নেমে আসে সাবিনার পরিবারে। পরে সাবিনা কৌশলে বকুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বকুলকে জয়দেবপুরের বানিয়ারচালা এলাকার ভাই ফারুকের বাসায় নিয়ে ১৯ অক্টোবর রাতে হত্যা করে। লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে পরদিন সকালে ভাই ফারুক লাগেজ ট্রলিতে করে খণ্ডিত দেহ ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজের কাছে এবং সাবিনা ও তার ভাবী মৌসুমী দেহের অন্য অংশগুলো কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ফেলে রাখে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
গ্রেফতারকৃত চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজে লাগেজ ট্রলিতে এক ব্যক্তির খন্ডিত দেহ ও কুড়িগ্রামে হাত-পা-মাথা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর কোতোয়ালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামির নামে মামলা দায়ের করে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন