নরসিংদীতে ডিবি পুলিশের হেফাজতে ডাকাতির মামলার আসামি ইউসুফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইউসুফ নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার জালকুড়ি গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
এর আগে ডাকাতির মামলায় নিহত ইউসুফসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ ডাকাতির লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে প্রেস রিলিজ দিয়ে তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, চলতি মাসের ৪ নভেম্বর নরসিংদী ঘোড়াশাল ৫টি স্বর্ণের দোকানসহ ৬টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ডাকাত দল ১০৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫০০ ভরি রৌপ্য ও নগদ ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পলাশ থানায় মামলা দায়ের হয়। এরপর ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ।
এরই জের ধরে মাধবদীর বিরামপুর এলাকা থেকে ইউসুফ মিয়া ও রোকসানা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘোড়াশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফয়সাল ও কাইয়ুম নামে আরও দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইউসুফ ডাকাতির কথা স্বীকার করেন। এবং ডাকাতির মালামাল মাটির নিচে লুকানো আছে বলে জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইউসুফ অসুস্থ বোধ করে। পরে তাকে ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেণ। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এরপর গ্রেফতারকৃত রোকসানা ও ফয়সালকে নিয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার জালকুড়ি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। পরে তাদের দেখানো ফয়সালের বাড়ি থেকে লুন্ঠিত ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৪০ ভরি রুপা ও নগদ সত্তর হাজার পাচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এমএন মিজানুর রহমান বলেন, ইউসুফ নামের যে রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল তার বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ