বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মকুল হোসেনকে (৩৫) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মকুল হোসেন ধুনট পৌর এলাকার চরপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরহাটি গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে সাব্বির পাশা মথুরাপুর বাজার এলাকাসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরের (ডিস লাইন) ব্যবসা করে। একই এলাকায় মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মধুপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরের (ডিস লাইন) ব্যবসা করে। এই ব্যবসা নিয়ে সাব্বির পাশা ও আমিনুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে।
এ অবস্থায় গত ২৩ নভেম্বর দুপুরের দিকে আমিনুল ও তার লোকজন ভাদাইলহাটা-চরখাদুলী গ্রাম থেকে সাব্বির পাশার প্রায় দেড় কিলোমিটার ডিস লাইনের তার কেটে নেয়। এ ঘটনা নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে মথুরাপুর বাজার এলাকায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমিনুল ও তার লোকজন সাব্বির পাশাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে সাব্বির পাশার স্বজনরা মকুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় আহত সাব্বির পাশার ভাই আবু ছাইম বাদী হয়ে গত বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, মকুল হোসেনসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়।
যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরের ব্যবসা নিয়ে সাব্বির পাশার সঙ্গে দ্বন্দ রয়েছে। তবে সাব্বির পাশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া কিংবা নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। তারপরও আমার নাম জড়িয়ে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
বগুড়ার ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মকুলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ